ইমরান হাসান মুন্না :

নিজ দেশ ত্যাগ করে যখন অন্যদেশ যাই তখন বুকের বামপাশটা খুবই ব্যথা করে নিজের দেশের জন্য, বউ বাচ্চার জন্য। ওরা মনে করে খুবই সুখের সাথে টাকা পয়সা ইনকাম হয়।

ওরা বুঝে না হয় শরীরের বেদনার কথা যখন প্রথম ফ্লোর থেকে সপ্তম ফ্লোরে সিমেন্টের বস্তা কাঁধে করে সিড়ি বেয়ে ওঠাতে হয় তখন নিজের শরীরটাও এইবার হলেও একটু জিরিয়ে নাও তখন নিজের শরীর কে এই বলে বুঝদান দেয় যে আর একটু হলে বেশি টাকা পাবো।

রুদে পুড়ে যখন গাঁ থেকে ঘাম বের হয় তখন বুঝি প্রবাস জীবটা কতত কষ্টের। কোমরে যখন দড়ি বেঁধে বড় বড় বিল্ডিং এর কাজ করতে হয় তখন বুঝি জীবন আর প্রবাসী জীবন খুবই কষ্টকর। ভারি মালামাল যখন মাথায় করে বহন করতে হয় মাথা তখন বলে ওঠে আর পারছি না একটু তো রাখো।

তখন বলে সে হায় মেরে আমার পরিবার না খেয়ে থাকবে। কেউ খবর নেয় না ঠিক মতো সব ঠিকটাক আছে কি না।রাস্তায় যখন পড়ে থাকি ক্লান্ত হয়ে তখন কেউ ফিরে থাকায় না বেঁচপ আছি কি না মরে গেলাম।

মাস শেষে যখন দেশে টাকা পাঠাতে হয়। তখন সে টাকা পেয়েও তারা খুশি না। বলে ওঠে এ টাকা দিয়ে সংসার চলবে না।ছেলের স্কুল ফি ও হবে না। আমার চার পাঁচটা জামা দরকার আমার অমুক দরকার আমার তমুক দরকার একটু যত্নে বলে না তুমি ঠিক আছো তো।

টিকটাক না হলে এরই মাঝে পরকীয়া খেলে দিয়ে বসে থাকে। দেশ থেকে যখন মা অথবা নিকট আত্নীয়দের কলল যায় অমুক তোর বউ তমুকের সাথে বেহায়াপনা করে তুই কি জানিস।।

ছেলে যখন চুরি করে বলে বাবা মা না কোন একটা বাজে লোকের সাথে ফোনে বিজি থাকে আমায় ঠিক মতো খেতে দেয় না। তখন সত্যিই বুকের বামপাশটা মুছোড় দিয়ে ওঠে কিন্তু আমার নব বধু এতোটা নগ্ন এতোটা বেহায়া।

তুমি কি সত্যি সেই আমার রাতের রজনী যাকে পেয়েছিলাম ঠিক পনের টা বছর আগে তুমি কি সেই রমনী এখন পরকীয়া করে বেড়াচ্ছো।দেশে গেলেলে কি সত্যি তোমার সাথে আবারও তোমায় ভক্ষণ করতে হবে যে অন্য পুরুষ তোমাকে নষ্ট করেছে কিন্তু তুমি হায়।

যেখানে আমার থাকার কথা ছিলো সেখানে অন্য পুরুষ তোমার বুকে বাসা বুনেছে নতুন কররে নতুন রুপে কিন্তু সময় তুমি খুবই জগন্য খুবই নগ্ন।

রমনী এ কি বেহাল করলে তুমি ওহ বুঝেছি আমাকে ঠিকমত কাছে পাওনা তাই তো যে ঠুটে আমার চুমু খাওয়া ছিলো এখন অন্যপুরুষ তোমায় চুমু খায়। হুম আমি জানি আমার রাতের রজনী এখনও আমার হয়ে আছে থাকবে চিরকাল।

রজনী ভেবো না আমি কষ্ট পেলাম আর আমি ভাবছি তোমার কষ্ট হচ্ছে কিনা আর মন খারাপ করো না আমিমি তোমায় ক্ষমা করে দিলা অপলক দৃষ্টিতে থাকিয়ে।

imran hossan monna